‘নিজ ভালো তো জগত ভালো’ এ কথাটার সত্যতা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে ।
জীবনে অনেক চেষ্টা করেছি ভালো থাকতে কিন্তু পারিনি । জানি, আপনারা বলবেন
এটা আমার ব্যর্থতা । আপনাদের চোখে হয়তো সেটাই ঠিক । সত্যিই বলছি, অনেক
চেষ্টা করেছি ভালো থাকতে, আমাকে ভালো থাকতে দেয়নি পরিবেশ-পরিস্থিতি ।
প্রাকৃতিকসত্তা কখনোই পরিবেশের বিরুদ্ধে অবস্থান করে বেঁচে থাকতে পারেনা ।
কারণ প্রত্যেক পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত হয় একটা না একটা সিস্টেমের দ্বারা । তাই
পরিবেশের ভালো-মন্দ নির্ভর করবে সেই সিস্টেমের উপর । সিস্টেম যদি হয়
মানবতাহীন সেই সিস্টেমের অন্তর্গত পরিবেশের কাছে মানবতা প্রত্যাশা করাটা
নিতান্তই বোকামি ।
যে কেউ চাইলে সেই সিস্টেমে মানবতা দেখতেও পারে আবার দেখাতেও পারে । তবে সেটা মানবতার মোড়কে আবৃত অমানবিক, মিথ্যা-ছলনাতে পরিপূর্ণ ছাড়া কিছুই নয় ।
আজকের এ পৃথিবীতে যার অভিযোজন ক্ষমতা নেই তার বাঁচার অধিকারও নেই, বাঁচলেও স্বগোত্রের দাস হয়ে থাকতে হবে । হার্বাট স্পেন্সারের মতবাদই আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সর্বত্র । বাঁচামরার প্রতিযোগিতায় সবলেরাই বেঁচে থাকবে চিরকাল । এখন সবলেরা যদি হয় অসুর প্রকৃতির, মিথ্যাতে প্রতিষ্ঠিত, স্বার্থপর তবে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার, দরিদ্রের ওপর ধনীর বঞ্ছনা, শোষণ, শাসিতের ওপর শাসকের অবিচার, ন্যায়ের ওপর অন্যায়ের বিজয়, সরলের ওপর ধূর্তের বঞ্ছনা অস্বাভাবিক নয় । এটাই আজ সারাপৃথিবীতে পরিলক্ষিত হচ্ছে, এর ব্যত্যয় খুবই কম । কারণ পৃথিবী আজ প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী, সহযোগিতায় নয় ।
স্ব স্ব অবস্থান থেকে সবাই আজ শান্তি চায় । কিন্তু তাদের চাওয়া পাওয়া আহাজারি, প্রার্থনা, লেখালেখি, প্ল্যাকার্ড-ব্যানারেই সীমাবদ্ধ । সর্বোচ্চ সেটা একক গোষ্ঠীয় সশস্ত্র আন্দোলনে রূপ নেয় । কিন্তু তাতে করে আজকের দিনে কোনো শান্তিতো আসছেইনা বরং একদিকে যেমন বাড়ছে অশান্তি, আরেকদিকে শান্তিকামী মানুষের কাছে সেই সশস্ত্র আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে যুক্তিসংগত ভাবেই । যুক্তিসংগত বললাম এ কারণে যে, আজকের দিনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এতোটাই সাফল্য লাভ করেছে ঘরে বসেই একটা সুইচ টিপলেই স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবীর বুকে নিক্ষিপ্ত হবে অত্যাধুনিক পারমাণবিক বোমা । পারমাণবিক বোমার ক্ষমতা আজকালকার ছোট ছোট বাচ্চারও জানা আছে । আজকের দিনে যুদ্ধক্ষেত্র বলতে সমগ্র পৃথিবী, কিচেন রুম (রান্নাঘর) পর্যন্ত বাদ যাবেনা । তার উপর পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর কাছে যে পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ আছে তা দিয়ে যুদ্ধ শুরু হলে নিমিষেই ধ্বংস হবে এ পৃথিবী । পারমাণবিক অস্ত্র বাদ দিলেও কেবলমাত্র জীবাণু অস্ত্র দিয়েই এ পৃথিবীটাকে কয়েকঘন্টায় মানবহীন করে দেয়া সম্ভব । এতোকিছু চিন্তাকরে কোনো সুস্থবান ব্যক্তিই কল্পনা করতে পারেন না যে, সশস্ত্র আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা আছে, সমর্থন দেয়াতো দূরের কথা ।
যুদ্ধ কখনোই কাম্য নয় । তবু যুদ্ধ করতে হয়, বিশ্বমানবতার জন্য, শান্তির জন্য । তাই বলে আমি সশস্ত্র যুদ্ধের কথা বলছিনা । আজ এমন একটা যুদ্ধের প্রয়োজন যার কাছে অত্যাধুনিক পারমাণবিক অস্ত্রের কোনোই দাম নেই । দাম নেই বায়োওয়্যারের । যে যুদ্ধে প্রয়োজন হবেনা কোনো সামরিক অস্ত্র । যে যুদ্ধে নাশকতার কোনো বালাই থাকবেনা, থাকবেনা প্রাণহানি, তবে শান্তিপক্ষের প্রাণহানি ঘটতেই পারে, যোদ্ধাদের এতোটুকুন বিসর্জন আন্দোলনে দিতেই হবে ।
এই যুদ্ধটা আজ খুবই প্রয়োজন । কারণ মিথ্যাতে পরিপূর্ণ, শান্তিতের অন্তরায় এক ভয়ংকর সিস্টেম পৃথিবীর পরিবেশকে করেছে কলুষিত, অন্যায়ে পরিপূর্ণ, ছলনায় ভরপুর । এই ভয়ংকর সিস্টেম সারাপৃথিবীকে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে আছে সবাই যেনো তার দৈহিক-মানসিক দাস । সে যাই করতে বলে তাই আমরা করি, সে যেটাই ভাবায় সেটাই আমরা ভাবি, সে যে স্বপ্ন দেখায় সেই স্বপ্নে আমরা থাকি বিভোর । সে যেটাকে অন্যায় বলে সেটাকেই আমরা অন্যায় বলে জানি । অথচ সে যেটাকে মিথ্যা বলে সেটাই সত্যি । সে যেটাকে অশান্তির কারণ বলে, সেটাই শান্তির কারণ । আমাদের চিন্তাভাবনা, আরাধনায় আজ সেই সিস্টেম বিরাজ করছে । তার হুকুমেই চলছে সমগ্র পৃথিবী । যেনো এক আসুরিক ঈশ্বরের রাজত্ব চলছে পৃথিবীর বুকে । এই ভয়াল সিস্টেম থেকে কেউ রেহায় পায়নি । যেখানে মিথ্যায়. ধূর্ততায়, প্রবঞ্চনায়, অন্যায়ে পৃথিবীকে আচ্ছাদিত করে ফেলেছে সে, সেখানে আমার ভালো থাকা মানে বিশাল আগুণের কুন্ডলীতে একফোটা জলের অস্তিত্ব টিকে থাকা । মানুষ তার স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে ভালো থাকার, কিন্তু পারছে কই?
যে সিস্টেম আমাদেরকে ভালো থাকতে দিচ্ছেনা, আমাদেরকে অশান্তির অনলে দিবারাত্রি পুড়িয়ে মারছে, যে সিস্টেম আমাদেরকে বাধ্য করছে অসৎ হওয়ার জন্য, যে সিস্টেম আমাদেরকে উপহার দিচ্ছে একেকটা ঐশী, সেই সিস্টেমকে পাল্টানো আজ জরুরী হয়ে পড়েছে । যে সিস্টেমের কারণে শিক্ষিত পরিবারে শিক্ষিত গৃহবধূ মেহজাবিন পর্যন্ত শারীরিক-মানসিক নির্যাতন থেকে রেহায় পায় না, রেহায় পায়না কাজের মেয়ে যে কিনা শুধুমাত্র দরিদ্রের জন্য পাষবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে; যে সিস্টেম থেকে রেহায় পায়না সাগর-রুনি-বিশ্বজিৎরা সেই সিস্টেম পৃথিবীতের রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই । যে সিস্টেম দরিদ্রকে আজীবন দরিদ্র রেখে দানখয়রাত-ভিক্ষা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখে সমাজে নিজেকে দানবীর বলে জাহির করতে চায়, সৃষ্টিকর্তার কাছে মুত্তাকী সাজতে চায়; যে সিস্টেম নারীকে আবদ্ধ রাখতে চায় চারদেয়ালের মাঝে কিংবা যে সিস্টেম নারীকে নগ্ন করে ভোগ্যপণ্য এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা করতে চায় সেই সিস্টেম কখনোই মানবতাবাদী নয় । যে সিস্টেম ইসলামী মিলিশিয়ান্টদের ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে এবং তা সত্ত্বেও তাদের সাথে লুকোচুরি খেলে বাকি পৃথিবীরে সাধারণ মানুষগুলোর প্রাণহানি করছে; আবালবৃদ্ধাবণিতার উপর অবরোধ চাপিয়ে দিচ্ছে; ইসলামকে সারাবিশ্বের সামনে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করছে সেই সিস্টেম কখনোই শান্তিকামী নয় । যে সিস্টেমের কারণে আজ পুরুষদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে রেহায় পাচ্ছেনা নারী, শিশু, কন্যা, কিশোর কেউই এমনকি নিজের মা-বোন-সন্তান পর্যন্ত সেই সিস্টেম কখনোই সভ্যতার দাবিদার হতে পারে না । যে সিস্টেমের কারণে মানুষ আজ অনৈক্যে জর্জরিত, দলাদলিতে খুনাখুনিতে পবিত্রভূমি করেছে অপবিত্র, একে অপরেরর দোষারোপে জাতিতে জাতিতে সৃষ্টি করেছে ঘৃণা, বিরোধ, বৈষম্য; যে সিস্টেম পৃথিবীকে কাঁটাতার আর প্রাচীরে খন্ডবিখন্ডিত করেছে সেটা কখনোই স্বাধীনতাকামী হতে পারে না ।
তাই সময়ের প্রয়োজনে আজ এমন একটা যোদ্ধাদলের প্রয়োজন যারা রচনা করবে বজ্রশক্তির বূহ্য, যাদের ঢাল হবে সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায়, যাদের বূহ্য ভেদ করতে পারবেনা সেই মিথ্যাশ্রিত সিস্টেম । আজ এমন একটা বূহ্যের প্রয়োজন যা হবে মহাসত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত । যাদের সাথে পৃথিবীর থাকবে চতুর্মাত্রিক বিরোধিতা, বৈপরীত্যতা, অথচ থাকবে স্রষ্টার অপার সাহায্য; সেই মহাসত্য দেখে মিথ্যা ধূলিস্মাত হয়ে যাবে । আজ এমন একটা আদর্শের প্রয়োজন যা হবে মহাসত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত, এই সত্যই প্রচলিত সিস্টেমের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে । কারণ আজ পৃথিবী যে সিস্টেমের উপর দাঁড়িয়ে আছে সেই সিস্টেম মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত । ছলনাময়ী, মিথ্যাশ্রয়ী সিস্টেম মহাসত্য দেখে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়বে । সেদিন মহামিথ্যুক সিস্টেমের অত্যাধুনিক অস্ত্র নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে । অস্ত্র পরে রবে অস্ত্রাগারে । মানুষ সেদিন ভুল করেও সেই অস্ত্র মানুষের সামনে তাক করবেনা । কারণ সত্য সুন্দর । সত্যই শান্তি । সত্যই স্বর্গ । সত্যই স্রষ্টা ।
যে কেউ চাইলে সেই সিস্টেমে মানবতা দেখতেও পারে আবার দেখাতেও পারে । তবে সেটা মানবতার মোড়কে আবৃত অমানবিক, মিথ্যা-ছলনাতে পরিপূর্ণ ছাড়া কিছুই নয় ।
আজকের এ পৃথিবীতে যার অভিযোজন ক্ষমতা নেই তার বাঁচার অধিকারও নেই, বাঁচলেও স্বগোত্রের দাস হয়ে থাকতে হবে । হার্বাট স্পেন্সারের মতবাদই আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সর্বত্র । বাঁচামরার প্রতিযোগিতায় সবলেরাই বেঁচে থাকবে চিরকাল । এখন সবলেরা যদি হয় অসুর প্রকৃতির, মিথ্যাতে প্রতিষ্ঠিত, স্বার্থপর তবে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার, দরিদ্রের ওপর ধনীর বঞ্ছনা, শোষণ, শাসিতের ওপর শাসকের অবিচার, ন্যায়ের ওপর অন্যায়ের বিজয়, সরলের ওপর ধূর্তের বঞ্ছনা অস্বাভাবিক নয় । এটাই আজ সারাপৃথিবীতে পরিলক্ষিত হচ্ছে, এর ব্যত্যয় খুবই কম । কারণ পৃথিবী আজ প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী, সহযোগিতায় নয় ।
স্ব স্ব অবস্থান থেকে সবাই আজ শান্তি চায় । কিন্তু তাদের চাওয়া পাওয়া আহাজারি, প্রার্থনা, লেখালেখি, প্ল্যাকার্ড-ব্যানারেই সীমাবদ্ধ । সর্বোচ্চ সেটা একক গোষ্ঠীয় সশস্ত্র আন্দোলনে রূপ নেয় । কিন্তু তাতে করে আজকের দিনে কোনো শান্তিতো আসছেইনা বরং একদিকে যেমন বাড়ছে অশান্তি, আরেকদিকে শান্তিকামী মানুষের কাছে সেই সশস্ত্র আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে যুক্তিসংগত ভাবেই । যুক্তিসংগত বললাম এ কারণে যে, আজকের দিনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এতোটাই সাফল্য লাভ করেছে ঘরে বসেই একটা সুইচ টিপলেই স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবীর বুকে নিক্ষিপ্ত হবে অত্যাধুনিক পারমাণবিক বোমা । পারমাণবিক বোমার ক্ষমতা আজকালকার ছোট ছোট বাচ্চারও জানা আছে । আজকের দিনে যুদ্ধক্ষেত্র বলতে সমগ্র পৃথিবী, কিচেন রুম (রান্নাঘর) পর্যন্ত বাদ যাবেনা । তার উপর পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর কাছে যে পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ আছে তা দিয়ে যুদ্ধ শুরু হলে নিমিষেই ধ্বংস হবে এ পৃথিবী । পারমাণবিক অস্ত্র বাদ দিলেও কেবলমাত্র জীবাণু অস্ত্র দিয়েই এ পৃথিবীটাকে কয়েকঘন্টায় মানবহীন করে দেয়া সম্ভব । এতোকিছু চিন্তাকরে কোনো সুস্থবান ব্যক্তিই কল্পনা করতে পারেন না যে, সশস্ত্র আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা আছে, সমর্থন দেয়াতো দূরের কথা ।
যুদ্ধ কখনোই কাম্য নয় । তবু যুদ্ধ করতে হয়, বিশ্বমানবতার জন্য, শান্তির জন্য । তাই বলে আমি সশস্ত্র যুদ্ধের কথা বলছিনা । আজ এমন একটা যুদ্ধের প্রয়োজন যার কাছে অত্যাধুনিক পারমাণবিক অস্ত্রের কোনোই দাম নেই । দাম নেই বায়োওয়্যারের । যে যুদ্ধে প্রয়োজন হবেনা কোনো সামরিক অস্ত্র । যে যুদ্ধে নাশকতার কোনো বালাই থাকবেনা, থাকবেনা প্রাণহানি, তবে শান্তিপক্ষের প্রাণহানি ঘটতেই পারে, যোদ্ধাদের এতোটুকুন বিসর্জন আন্দোলনে দিতেই হবে ।
এই যুদ্ধটা আজ খুবই প্রয়োজন । কারণ মিথ্যাতে পরিপূর্ণ, শান্তিতের অন্তরায় এক ভয়ংকর সিস্টেম পৃথিবীর পরিবেশকে করেছে কলুষিত, অন্যায়ে পরিপূর্ণ, ছলনায় ভরপুর । এই ভয়ংকর সিস্টেম সারাপৃথিবীকে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে আছে সবাই যেনো তার দৈহিক-মানসিক দাস । সে যাই করতে বলে তাই আমরা করি, সে যেটাই ভাবায় সেটাই আমরা ভাবি, সে যে স্বপ্ন দেখায় সেই স্বপ্নে আমরা থাকি বিভোর । সে যেটাকে অন্যায় বলে সেটাকেই আমরা অন্যায় বলে জানি । অথচ সে যেটাকে মিথ্যা বলে সেটাই সত্যি । সে যেটাকে অশান্তির কারণ বলে, সেটাই শান্তির কারণ । আমাদের চিন্তাভাবনা, আরাধনায় আজ সেই সিস্টেম বিরাজ করছে । তার হুকুমেই চলছে সমগ্র পৃথিবী । যেনো এক আসুরিক ঈশ্বরের রাজত্ব চলছে পৃথিবীর বুকে । এই ভয়াল সিস্টেম থেকে কেউ রেহায় পায়নি । যেখানে মিথ্যায়. ধূর্ততায়, প্রবঞ্চনায়, অন্যায়ে পৃথিবীকে আচ্ছাদিত করে ফেলেছে সে, সেখানে আমার ভালো থাকা মানে বিশাল আগুণের কুন্ডলীতে একফোটা জলের অস্তিত্ব টিকে থাকা । মানুষ তার স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে ভালো থাকার, কিন্তু পারছে কই?
যে সিস্টেম আমাদেরকে ভালো থাকতে দিচ্ছেনা, আমাদেরকে অশান্তির অনলে দিবারাত্রি পুড়িয়ে মারছে, যে সিস্টেম আমাদেরকে বাধ্য করছে অসৎ হওয়ার জন্য, যে সিস্টেম আমাদেরকে উপহার দিচ্ছে একেকটা ঐশী, সেই সিস্টেমকে পাল্টানো আজ জরুরী হয়ে পড়েছে । যে সিস্টেমের কারণে শিক্ষিত পরিবারে শিক্ষিত গৃহবধূ মেহজাবিন পর্যন্ত শারীরিক-মানসিক নির্যাতন থেকে রেহায় পায় না, রেহায় পায়না কাজের মেয়ে যে কিনা শুধুমাত্র দরিদ্রের জন্য পাষবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে; যে সিস্টেম থেকে রেহায় পায়না সাগর-রুনি-বিশ্বজিৎরা সেই সিস্টেম পৃথিবীতের রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই । যে সিস্টেম দরিদ্রকে আজীবন দরিদ্র রেখে দানখয়রাত-ভিক্ষা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখে সমাজে নিজেকে দানবীর বলে জাহির করতে চায়, সৃষ্টিকর্তার কাছে মুত্তাকী সাজতে চায়; যে সিস্টেম নারীকে আবদ্ধ রাখতে চায় চারদেয়ালের মাঝে কিংবা যে সিস্টেম নারীকে নগ্ন করে ভোগ্যপণ্য এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা করতে চায় সেই সিস্টেম কখনোই মানবতাবাদী নয় । যে সিস্টেম ইসলামী মিলিশিয়ান্টদের ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে এবং তা সত্ত্বেও তাদের সাথে লুকোচুরি খেলে বাকি পৃথিবীরে সাধারণ মানুষগুলোর প্রাণহানি করছে; আবালবৃদ্ধাবণিতার উপর অবরোধ চাপিয়ে দিচ্ছে; ইসলামকে সারাবিশ্বের সামনে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করছে সেই সিস্টেম কখনোই শান্তিকামী নয় । যে সিস্টেমের কারণে আজ পুরুষদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে রেহায় পাচ্ছেনা নারী, শিশু, কন্যা, কিশোর কেউই এমনকি নিজের মা-বোন-সন্তান পর্যন্ত সেই সিস্টেম কখনোই সভ্যতার দাবিদার হতে পারে না । যে সিস্টেমের কারণে মানুষ আজ অনৈক্যে জর্জরিত, দলাদলিতে খুনাখুনিতে পবিত্রভূমি করেছে অপবিত্র, একে অপরেরর দোষারোপে জাতিতে জাতিতে সৃষ্টি করেছে ঘৃণা, বিরোধ, বৈষম্য; যে সিস্টেম পৃথিবীকে কাঁটাতার আর প্রাচীরে খন্ডবিখন্ডিত করেছে সেটা কখনোই স্বাধীনতাকামী হতে পারে না ।
তাই সময়ের প্রয়োজনে আজ এমন একটা যোদ্ধাদলের প্রয়োজন যারা রচনা করবে বজ্রশক্তির বূহ্য, যাদের ঢাল হবে সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায়, যাদের বূহ্য ভেদ করতে পারবেনা সেই মিথ্যাশ্রিত সিস্টেম । আজ এমন একটা বূহ্যের প্রয়োজন যা হবে মহাসত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত । যাদের সাথে পৃথিবীর থাকবে চতুর্মাত্রিক বিরোধিতা, বৈপরীত্যতা, অথচ থাকবে স্রষ্টার অপার সাহায্য; সেই মহাসত্য দেখে মিথ্যা ধূলিস্মাত হয়ে যাবে । আজ এমন একটা আদর্শের প্রয়োজন যা হবে মহাসত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত, এই সত্যই প্রচলিত সিস্টেমের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে । কারণ আজ পৃথিবী যে সিস্টেমের উপর দাঁড়িয়ে আছে সেই সিস্টেম মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত । ছলনাময়ী, মিথ্যাশ্রয়ী সিস্টেম মহাসত্য দেখে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়বে । সেদিন মহামিথ্যুক সিস্টেমের অত্যাধুনিক অস্ত্র নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে । অস্ত্র পরে রবে অস্ত্রাগারে । মানুষ সেদিন ভুল করেও সেই অস্ত্র মানুষের সামনে তাক করবেনা । কারণ সত্য সুন্দর । সত্যই শান্তি । সত্যই স্বর্গ । সত্যই স্রষ্টা ।
0 comments:
Post a Comment