শুধু একটা কারণে, মাত্র একটা কারণে, মানুষ অসীম স্বার্থকেন্দ্রিকতার
দিকে দ্রুতগতিতে ছুটছে এবং খুব দ্রুতগতিতে ।এ স্বার্থকেন্দ্রিকতা এমন
পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, নাড়ীসম্পর্কও আজ শুধু রক্তেই গড়াগড়ি করে, নাড়ী
ভেদ করে তা আত্মায় প্রোথিত হয়না ।
অসীম চাহিদাকে সামনে রেখে তিনমোহনার বাড়ি নিয়ে দুচাকার মানব নামের গাড়িটি বেশিদূর এগুতে পারেনা । তাইতো পরতে পরতে গাড়ি হেলেদুলে চলে । ভারসাম্য হারিয়ে প্রায় খাদে পড়ে, আবার উঠে । কিন্তু এভাবে আর কতদিন?
মানবজনম আজ বড়ই ভারের! আজকের এ ভার দেখে নিশ্চয় কোন দেব-দেবীরা মানব হয়ে জন্ম নেবার ইচ্ছে করবে না?
কিন্তু কী সে কারণ, যার জন্যে মানুষ আজ গাধায় পরিণত হয়েছে?
যেদিন থেকে মানুষ ভুলে গেলো তাকে স্রষ্টা কী উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছে, সেদিন থেকেই সে আজকের মানুষরুপী খচ্চরে পরিনত হয়েছে ।
বর্তমান মানুষের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের দিকে তাকালে অতি সহজে প্রতীয়মান হয়, তাকে কেবল ভোগবাদের মূল্যায়ন ও প্রতিফলন করার জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে । তাই সে কাকের মতো আবর্জনা খেতেও দ্বিধা করেনা ।
মানচিত্রের একাত্মতা, মানবতার দায়িত্ববোধ, শিক্ষার মনুষ্যত্ব, সত্যের সাক্ষ্য, সৌন্দর্য্যের প্রশংসা, নারীর কোমলতা, শিশুর পবিত্রতা, পুরুষের বলিষ্ঠতা, যৌবনের অদম্যতা, বার্ধক্যের জ্ঞান-অভিজ্ঞতা সবই আজ ভোগবাদী মানুষের কাছে ভোগ্য । পৃথিবীতে যতো গুণবাচক শব্দ আছে, সবই যেনো পণ্যের বিজ্ঞাপন ।
ভোগবাদের সাথে স্বার্থকেন্দ্রিকতার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ বলে মানুষ প্রতিনিয়ত নিজের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে অবিশ্রান্তভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে ।এ চেষ্টা বৈধ না অবৈধ, তা স্বার্থকেন্দ্রিকতার কাছে মোটেই বিবেচ্য নয় ।
ঠিক এ কারণে, পৃথিবীতে বেড়ে চলেছে নিত্য নতুন অপরাধ । কোন আইন দিয়ে তা ঠেকানো যাচ্ছে না । কারণ আইন মানার মানবিক মূল্যবোধও ভোগবাদের বাজারে স্বার্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেছে ।
সকল অপরাধতো কমছেইনা বরং দিনে দিনে বেড়ে চলেছে গুণোত্তর ধারায় । অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে নিউক্লিয় ফিউশন গতিতে এগিয়ে চলছে ।
ভোগবাদের প্রতিধ্বনি আমাদের চিন্তাজগতে ঢুকে অদ্ভুত প্রশ্নের সৃষ্টি করে জড়বাদকে আরো প্রবল করছে ।
সমাধিকার আদায়ের নামে নারী তার নারীত্ব হারিয়ে পুরুষে পরিণত হতে বড়ই আগ্রহী । এ আগ্রহের মূলে যে ভোগবাদের প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে তা কি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার খুব প্রয়োজন?
আজকের দুনিয়ায় স্বার্থকেন্দ্রিকতার প্রতিযোগিতায় সবাই সবাইকে প্রতিযোগীই ভাবে, রাসূল সাঃ এর আসহাবদের মতো সহযোগী ভাববার সময় নাই । কারণ, তাঁর আসহাবরাতো কেউ ভোগবাদী স্বার্থকেন্দ্রিকতার জন্যে বেঁচে ছিলেন না । তাঁদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যই ছিলো এক স্রষ্টার সার্বভৌমত্ব পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করা । যাঁর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এতো মহৎ, সে কখনোই সমাধিকার দাবি আদায়ের জন্যে টু শব্দটাও উচ্চারণ করতে পারে না । নারী ও পুরুষ তাঁদের নিজস্ব স্থানে থেকেই সেই মহৎ উদ্দেশ্য সাধন করেছে । তাই বলে নারী যে পুরুষের আঙ্গিনায় পা দিতে পারবেনা, তা কিন্তু ছিলোনা । পরিস্থিতি সাপেক্ষে নারী সাহাবী আম্মারা রাঃ দুধর্ষ যোদ্ধাতে পরিণত হন । সে শিক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে রাসূল সাঃ এর সহধর্মিণী আয়েশা রাঃ উষ্ট্রের যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন, যার নেতৃত্বে পুরুষ সেন্যরা ছিলো ( এ যুদ্ধের যৌক্তিকতা নিয়ে আমাদের কথা নয়, বরং লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো রাসূল সাঃ এই শিক্ষায় দিয়েছিলেন যে, প্রয়োজনে নারীরাও পুরুষের কাতারে এসে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবে)।
যাই হোক, আমরা হয়তো এতটুকুন অন্তত বুঝেছি যে, আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ভুলে যাওয়ায় সকল কর্মকান্ডের যথার্থতা, প্রায়োগিক ক্ষেত্র, প্রতিক্রিয়া উল্টো হয়ে গিয়েছে, যেটা কিনা আজকের চূড়ান্ত ভোগবাদ-স্বার্থকেন্দ্রিকতায় এসে ঠাঁয় নিয়েছে ।
তাই আমরা বেঁচে থাকি ভোগবাদের জন্য । এই হয়েছে আমাদের উদ্দেশ্য ।
কিন্তু সত্যানুসারীদের ভোগবাদের জায়গা পৃথিবী না, স্বর্গ ।
- ইলিয়াস আহমেদ
অসীম চাহিদাকে সামনে রেখে তিনমোহনার বাড়ি নিয়ে দুচাকার মানব নামের গাড়িটি বেশিদূর এগুতে পারেনা । তাইতো পরতে পরতে গাড়ি হেলেদুলে চলে । ভারসাম্য হারিয়ে প্রায় খাদে পড়ে, আবার উঠে । কিন্তু এভাবে আর কতদিন?
মানবজনম আজ বড়ই ভারের! আজকের এ ভার দেখে নিশ্চয় কোন দেব-দেবীরা মানব হয়ে জন্ম নেবার ইচ্ছে করবে না?
কিন্তু কী সে কারণ, যার জন্যে মানুষ আজ গাধায় পরিণত হয়েছে?
যেদিন থেকে মানুষ ভুলে গেলো তাকে স্রষ্টা কী উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছে, সেদিন থেকেই সে আজকের মানুষরুপী খচ্চরে পরিনত হয়েছে ।
বর্তমান মানুষের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের দিকে তাকালে অতি সহজে প্রতীয়মান হয়, তাকে কেবল ভোগবাদের মূল্যায়ন ও প্রতিফলন করার জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে । তাই সে কাকের মতো আবর্জনা খেতেও দ্বিধা করেনা ।
মানচিত্রের একাত্মতা, মানবতার দায়িত্ববোধ, শিক্ষার মনুষ্যত্ব, সত্যের সাক্ষ্য, সৌন্দর্য্যের প্রশংসা, নারীর কোমলতা, শিশুর পবিত্রতা, পুরুষের বলিষ্ঠতা, যৌবনের অদম্যতা, বার্ধক্যের জ্ঞান-অভিজ্ঞতা সবই আজ ভোগবাদী মানুষের কাছে ভোগ্য । পৃথিবীতে যতো গুণবাচক শব্দ আছে, সবই যেনো পণ্যের বিজ্ঞাপন ।
ভোগবাদের সাথে স্বার্থকেন্দ্রিকতার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ বলে মানুষ প্রতিনিয়ত নিজের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে অবিশ্রান্তভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে ।এ চেষ্টা বৈধ না অবৈধ, তা স্বার্থকেন্দ্রিকতার কাছে মোটেই বিবেচ্য নয় ।
ঠিক এ কারণে, পৃথিবীতে বেড়ে চলেছে নিত্য নতুন অপরাধ । কোন আইন দিয়ে তা ঠেকানো যাচ্ছে না । কারণ আইন মানার মানবিক মূল্যবোধও ভোগবাদের বাজারে স্বার্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেছে ।
সকল অপরাধতো কমছেইনা বরং দিনে দিনে বেড়ে চলেছে গুণোত্তর ধারায় । অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে নিউক্লিয় ফিউশন গতিতে এগিয়ে চলছে ।
ভোগবাদের প্রতিধ্বনি আমাদের চিন্তাজগতে ঢুকে অদ্ভুত প্রশ্নের সৃষ্টি করে জড়বাদকে আরো প্রবল করছে ।
সমাধিকার আদায়ের নামে নারী তার নারীত্ব হারিয়ে পুরুষে পরিণত হতে বড়ই আগ্রহী । এ আগ্রহের মূলে যে ভোগবাদের প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে তা কি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার খুব প্রয়োজন?
আজকের দুনিয়ায় স্বার্থকেন্দ্রিকতার প্রতিযোগিতায় সবাই সবাইকে প্রতিযোগীই ভাবে, রাসূল সাঃ এর আসহাবদের মতো সহযোগী ভাববার সময় নাই । কারণ, তাঁর আসহাবরাতো কেউ ভোগবাদী স্বার্থকেন্দ্রিকতার জন্যে বেঁচে ছিলেন না । তাঁদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যই ছিলো এক স্রষ্টার সার্বভৌমত্ব পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করা । যাঁর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এতো মহৎ, সে কখনোই সমাধিকার দাবি আদায়ের জন্যে টু শব্দটাও উচ্চারণ করতে পারে না । নারী ও পুরুষ তাঁদের নিজস্ব স্থানে থেকেই সেই মহৎ উদ্দেশ্য সাধন করেছে । তাই বলে নারী যে পুরুষের আঙ্গিনায় পা দিতে পারবেনা, তা কিন্তু ছিলোনা । পরিস্থিতি সাপেক্ষে নারী সাহাবী আম্মারা রাঃ দুধর্ষ যোদ্ধাতে পরিণত হন । সে শিক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে রাসূল সাঃ এর সহধর্মিণী আয়েশা রাঃ উষ্ট্রের যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন, যার নেতৃত্বে পুরুষ সেন্যরা ছিলো ( এ যুদ্ধের যৌক্তিকতা নিয়ে আমাদের কথা নয়, বরং লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো রাসূল সাঃ এই শিক্ষায় দিয়েছিলেন যে, প্রয়োজনে নারীরাও পুরুষের কাতারে এসে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবে)।
যাই হোক, আমরা হয়তো এতটুকুন অন্তত বুঝেছি যে, আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ভুলে যাওয়ায় সকল কর্মকান্ডের যথার্থতা, প্রায়োগিক ক্ষেত্র, প্রতিক্রিয়া উল্টো হয়ে গিয়েছে, যেটা কিনা আজকের চূড়ান্ত ভোগবাদ-স্বার্থকেন্দ্রিকতায় এসে ঠাঁয় নিয়েছে ।
তাই আমরা বেঁচে থাকি ভোগবাদের জন্য । এই হয়েছে আমাদের উদ্দেশ্য ।
কিন্তু সত্যানুসারীদের ভোগবাদের জায়গা পৃথিবী না, স্বর্গ ।
- ইলিয়াস আহমেদ
0 comments:
Post a Comment